মঙ্গাদুরকরণে আশ্বিন - কার্ত্তিক মাসে জাতে করে ধান ফষলচাষীর ঘড়ে আসে এবংকৃষি শ্রমিকরা এ সময়ে কাজ পায় সেজন্য আগাম জাতের ব্রি-ধান ৩৩, ব্রিধান-৩৯, বিনাধান-৭ এর চাষ প্রর্বতন করা ।
ঙ)
আগাম আমন কর্তনকৃত এসব জমিতে সরিষা , আলু ও আগাম শীত সব্জী চাষবৃদ্ধির মাধ্যমে এলাকায় তেল ও সব্জীর ঘাটতি পূরণকরা ।
চ)
বন্যাকবলিত এলাকার জন্য ব্রি-ধান সাব-১ চাষ প্রবর্তন করা।
ছ)
বর্নায় ক্ষতিগ্রস্থ আমন ফসলের অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ানের লক্ষেবন্যার পরপরে উপরি প্রয়োগ পটাশ সার প্রয়োগ উদ্ভুদ্ধ করণ তরানিত করা।
জ)
কৃষিক্ষেত্রেনতুন প্রযুাক্তি ও চাহিদার নিরিখে গৃহীত বিভাগীয়বিভিন্ন প্রকল্পের সাথসমন্বয় সাধন, প্রকল্প গ্রহনে পরিকল্পনাপ্রনয়ন ও বাস্তবায়ন।
ঝ)
কৃষি ক্ষেত্রে জলবায়ু পরির্তনের সাথে ফসলে অভিযোজন ক্ষমতাবাড়ানের প্রযুক্তি গ্রহন ও বাস্তবায়ন।
ঞ)
কৃষিখাতেদূযোর্গ ব্যবস্থাপনার জন্য উপযুক্ত পূর্ব প্রস্তুতিযেমন নাবীজাতের ধানবীজ সংগ্রহ ও চারা উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহন,সব্জী উৎপাদন ও অন্যান্য কৃষিপূর্নবাসন কার্যক্রমগ্রহন।
ট)
মাটিরস্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব্যসার ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষে বোরো চাষের পর আমনচাষের পূর্ব ৪৫ - ৫০ দিনের জন্য সবুর সার হিসাবে ধৈঞ্চার চাষ প্রবর্তন করা।
বন্যা ও জলাবদ্ধতা ঝুঁকি মোকাবেলায় অন্যান্য পূর্বপ্রস্তুতি
নদী বিধৌত বন্যা ঝুঁকি মোকাবেলায়-
বাড়ীর চারপাশে কলাগাছ,বাঁশসহ অন্যান্য গাছ লাগাতে হবে।
পর্যাপ্ত বীজ সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
বন্যারপানি নামতে শুরু করলেই নিয়মিত স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবংউপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে পূনর্বাসন সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিতে হবে।
আকস্মিক বন্যা (ভাসা পানি) মোকাবেলায়-
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে ফসলের আগাম জাত ও ¯^í মেয়াদি ফসলের বীজ সংগ্রহ ও চাষ করতে হবে।
আকস্মিক বন্যায় করণীয় বিষয়ে কাজ করে এমন সংস্থা থেকে ভাসা পানি মোকাবেলায় কৃষকের করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও করনীয় জেনে নিতে হবে।
কৃষি ক্ষেত্রে খরা মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি
CDMP-Gi আওতায় FAO-Gi কারিগরী সহায়তায় কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর এর বাস্তবায়নেলাইভলিহুড এ্যাডাপটেশন টু ক্লাইমেট চেঞ্জ (LACC) প্রকল্পের গবেষণায় ওস্থানীয় জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে খরার সমস্যা মোকাবেলায় নিচে লিখিতঅভিযোজনের উপায়গুলো সুপারিশ করা হয়েছে-
খরাঞ্চলে আগাম জাতেররোপা আমন (ব্রি ধান-৩৩,৩৯ ও উপযোগী অন্যান্য জাত) চাষ করে এবং আগাম কেটেছোলা বা খরা সহিষ্ণু ফসল নির্বাচন করা যেতে পাবে।
খরা প্রবন এলাকায় আমন ধানে সেচের জন্য মিনি পুকুর খনন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে সম্পুরক সেচ দেয়া।
ঊসতবাড়ীতেসারা বছর বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যেমন-মিষ্টি কুমড়া,খিরা,পেঁপে ইত্যাদি চাষকরে খাদ্য-পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
খরা সহণশীল ফলের ( যেমন-আপেলকুল,বাউকুল ইত্যাদি) বাগান করে অধিক মুনাফা নিশ্চিত করা।
বোরো ধানের আবাদে সঠিক মাত্রায় সেচ দিয়ে পানির অপচয় রোধ করা যেতে পারে।
আমন ধানের বীজতলা তৈরির সময় বৃষ্টি না হলে শুকনা বীজতলা/ কমিউনিটি বীজতলাতৈরি করে সময়মতো ধান রোপন নিশ্চিত করা।
গাছের গোড়ায় মালচিং বা জাবড়া প্রয়োগ করা।
কৃষি সেক্টরে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা যেমন-কম্পোস্ট তৈরি, ঘাস চাষ, গবাদি পশু পালন, হাঁস-মুরগী পালন ইত্যাদি।
খরাপ্রবন এলাকায় উন্নত চুলা ব্যবহার করে জ্বালানী সাশ্রয় করে জৈব সার তৈরিকরে মাটির উর্বরা শক্তি এবং পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
সকলের অংশ গ্রহনে কমিউনিটি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা করা।
দোন,সেঁউতি ইত্যাদি দ্বারা পানি সেচ দেয়া এবং সম্পুরক সেচের পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া।
জৈব সার ব্যবহার করে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো।
জমির আইল উঁচু করে অধিক পানি সংরক্ষণ করা।
বিকল্প সেচের জন্য খাল-ডোবা সংস্কার করে রাখতে হবে, মিনি পুকুর তৈরি করে পানি ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
খরা ঝুঁকি মোকাবেলায় অন্যান্য প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি
বাড়ীর আশেপাশে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে।
ফসল রোপন ও মাঠের ফসল রক্ষার জন্য কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীর পরামর্শ নিতে হবে।
কৃষি ক্ষেত্রে উষ্ণ ও শৈত্য প্রবাহ এবং কুয়াশা মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতিঃ
উষ্ণতা বৃদ্ধি, উষ্ণ ও শৈত্য প্রবাহ এবং ঘন কুয়াশাজনিত সমস্যা মোকাবেলায় নিচের পূর্বপ্রস্তুতিগুলো গ্রহন করা যেতে পারে-
তীব্র শীত ও কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য শাকসবজির চারা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
ঠান্ডায় ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সঠিক ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
কুয়াশার ক্ষতি থেকে মুকুল রক্ষার জন্য আম গাছে পানি বা সঠিক ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
কৃষি ক্ষেত্রে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি
আমনধান বিনষ্ট হলে এবং হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকলে দ্রুত পুনরায় চারা উৎপাদনকরে, বিভিন্ন স্থানীয় উন্নত জাত এবং ব্রি ধান-৪৫, নাইজারশাইল ইত্যাদি রোপনকরা যেতে পারে।
নতুন করে ধান লাগিয়ে পূনর্বাসনের মত সময় নাথাকলে অবিলম্বে দ্রুত বর্ধনশীল শাকসবজি আবাদ করে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তারপাশাপাশি নগদ অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
বিভিন্ন প্রকার রবি ফসল যেমন-ভুট্টা, আলু, চীনাবাদাম এবং বিশেষ করে উচ্চ মূল্যের শীতকালীন শাকসবজি আগাম আবাদ করা যেতে পারে।
ফসলবা আমন ধান নষ্ট হয়ে গেলে এবং নতুন চারা রোপনের সময় বা সুযোগ না থাকলেদ্রুত বর্ধনশীল শাকসবজি যেমন-ডাঁটা, লালশাক, গিমাকলমি, ঢেড়শ, পুঁইশাকইত্যাদি লাগানো যেতে পারে।
কৃষি জমিতে বাতাসের বেগ প্রতিরোধী গাছ যেমন-তাল, নারিকেল রোপন করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ বনাঞ্চলকে পূনঃস্থাপন করা।
বনজ ও ফলদ গাছের ছোট চারা প্রধান মূলসহ রোপন করতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়, সিটিজেন চার্টার:
সকল শ্রেণীর চাষীদের চাহিদাভিত্তিক সেবা প্রদান
কৃষি গবেষনার চাহিদা নিরুপনএবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি চাষীদেরদোর-গোড়ায় পৌঁছানো,জনপ্রিয়করণও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান
কৃষি সমপ্রসারণ কর্মী ও কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়ন
কৃষি ভিত্তিক বানিজ্য সমপ্রসাণেরসহায়তা প্রদান
কৃষি তথ্য ভিত্তিক উন্নয়নও সহজ ব্যবহারে কৃষকদেরসহায়তা প্রদান
উৎপাদনসমস্যাদি চিহ্নিতকরণ ওসমাধানে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে সমন্বয়করণ ও কার্যক্রম গ্রহন
কৃষি উপকরণের চাহিদা নিরুপন, প্রাপ্যতা ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ
নারীকে কৃষির মুলস্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণ ওনারীদের ক্ষমতায়নে সহায়তা প্রদান
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,কৃষিপুনর্বাসন ও কৃষিঋণ প্রাপ্তিতে কৃষকদের সহায়তাপ্রদান
কৃষি পণ্য ওউপকরণের মান নিয়ন্ত্রন
সমন্বিতভাবে পরিবেশ বান্ধব কৃষিপ্রযুক্তি সমপ্রসারণ সকলকৃষক দলের সাথেকাজ করা।